কুমিল্লার পাঁচথুবী ইউনিয়নের চাঁনপুর মধ্যপাড়ায় এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন। সরকারি এক নম্বর খাস খতিয়ানের সম্পত্তিতে নির্মিত একটি মসজিদ ভেঙে নিচ্ছিলেন তিনি। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সেখানে ছুটে এসে মসজিদ ভাঙার কাজ বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া আফরিন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মসজিদটি সরকারের এক নম্বর খাস খতিয়ানে থাকা সম্পত্তিতে নির্মিত হয়েছে। সরকারি সম্পত্তিতে থাকা মসজিদ তিনি এভাবে ভাঙতে পারেন না। সেখানে গিয়ে ভাঙার কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তাকে বলেছি, কীভাবে তিনি এটি ভাঙতে পারেন, তা কাগজপত্রসহ আমাদের জানাতে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের চাঁনপুর মধ্যপাড়ায় এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মাণ করা হয় বন্দিশাহী জামে মসজিদটি। তবে পাঁচ বছর আগে পাশে নতুন আরেকটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে বন্দিশাহী জামে মসজিদটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। তিন দিন আগে বিল্লাল হোসেন মসজিদটি ভাঙার কাজ শুরু করেন। অনেকে দাবি করেন, মসজিদ ভেঙে সেখানে মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন বিল্লাল।
এদিকে অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন দাবি করে বলেন, বাবা-চাচারা প্রায় ৩০ বছর আগে মসজিদটি নির্মাণ করেছেন। মসজিদটির জায়গাও আমাদের দেওয়া, এটা খাস জায়গা নয়। আমার বাবা-চাচারা জায়গাটি মসজিদের নামে ওয়াকফ্ করে দিয়েছেন। মসজিদটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত। এজন্য এটি ভেঙে সেখানে একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা করার উদ্যোগ নিয়েছি। মসজিদের স্থানে মার্কেট নির্মাণ করার কথা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কাজগপত্র নিয়ে ইউএনও’র কাছে যাবো। জানা যায়, জাকিয়া আফরিন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তিনি সেখানে যোগদান করেছেন ২০১৯ সালের জুন মাসে। তখন থেকেই তিনি সেখানে কর্মরত রছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।